বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১১

ফুটবলে ১০ নাম্বার জার্সি

পঞ্চাশের দশকে মাঠে ফুটবল খেলোয়াড়দের কৌশলগত অবস্থানের চিত্রটা ছিল এ রকম (২-৩-২-৩): গোলকিপারের পর দুজন ব্যাক, এরপর তিনজন হাফব্যাক, পরের সারিতে দুই পাশে রাইট উইং ও লেফট উইং এবং এরপর সেন্টার ফরোয়ার্ডে তিনজন। ।আর গোল করার সুযোগ সবচেয়ে বেশী তারই, যিনি সেন্টার ফরোয়ার্ডে খেলেন।তখনকার দিনে দলের সবচেয়ে দক্ষ খেলোয়ারকে কেন্দ্রীয় অবস্থানে রেখে সব কর্মপরিকল্পনা নির্ধারিত হতো।তিনি ফুটবল নিয়ে জাদুকরের মতো কৌশলে প্রতিপক্ষের দুর্গ ভেদ করে গোল দেন। আর অন্যরা তাঁকে পাস দিয়ে গোল করতে সাহায্য করেন।১৯৫৪ সালে জার্সিতে নাম্বারের নিয়ম প্রচলিত হয়।২-৩-২-৩ ফর্মেশন অনুযায়ী গোল কীপারের জার্সি নাম্বার  যদি ১ হয় তাহলে সেন্টার ফরোয়ার্ডের মাঝখানের জনের জার্সি নাম্বার হবে ১০।আর এভাবেই ১০ নাম্বার জার্সি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

 বর্তমানে ২-৩-২-৩ বিন্যাস আর নেই। কিন্তু দলের সেরা খেলোয়ারের জন্য ১০ নাম্বার জার্সির এই নিয়মটা রয়ে গেছে।এখন সাধারণভাবে ১০ নম্বর জার্সিটা তাঁকেই দেওয়া হয়, যিনি দলের সবচেয়ে চৌকস খেলোয়াড় এবং জয় নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচিত।

বিগত দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মেসি, ব্রাজিলের কাকা, ইংল্যান্ডের রুনি, স্পেনের ফ্যাব্রিগাস ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলছেন।

সাবেকদের মধ্যে ম্যারাডোনা ও পেলে   ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন।এছাড়াও এই তালিকায় আছেন। এ রকম নামকরা অন্য খেলোয়াড়েরা হলেন মাইকেল প্ল্যাটিনি, জিনেদিন জিদান, ডেভিড বেকহাম, জোহান ক্রুইফ, রবার্তো ব্যাজ্জিও, রোনালদিনহো,
ফ্রানসিসকো টট্টি, লুই ফিগো, রাউল গনজালেস, জিকো,মাইকেল ওয়েন, জিওর্জি হ্যাজ্জি (রোমানিয়া), রিভালদো, মারিও কেমপেস (আর্জেন্টিনা), জে-জে ওকোচা (নাইজেরিয়া), ফিরেন্স পুসকাস (১৯৫৪) প্রমুখ।

আর ১০ নাম্বার নিয়ে খেলেও সাফল্যের মুখ দেখেননি এমন খেলোয়াড়ের নাম খুজেই পাইলাম না।
সম্ভবত ইতিহাস শুধু সফলদেরকেই মনে রাখে

বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১১

সেরেলাক্স,ম্যাকগাইভার এবং আমার কানে ধরা


আমি তখন ছোট।বিটিভিতে ম্যাকগাইভার নামে টিভি সিরিয়াল চলছিল।সেই টিভি সিরিয়ালের কথা খুব বেশি মনে না থাকলেও একটা দৃশ্যের কথা আমার খুব ভালো করেই মনে আছে।কারণ সেই দিন আমি কানে ধরে উঠবস করেছিলাম।আর যতদূর মনে পরে সেটা ছিল আমার প্রথম কানে ধরা।

বাবা খুবই ব্যস্ত মানুষ।সারাদিন পরিশ্রমের পর আমাদের পড়ালেখায় সাহায্য করা অথবা পড়া জিজ্ঞেস করা, হয়তো চাইলেও করতে পারতেন না।এই কাজটা মা করতেন।কিন্তু সেই দিন বাবা আমার পড়া জিজ্ঞেস করছিলেন।গমের ইংরেজি বানান কি?” আমি মনে করতে পারছিলাম না।হয়তো পারিনা এই কথা বললে না পারলেও কিছুই হতোনা। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে, হয়তো সেদিন গমের ইংরেজি বানান পারতেই হবে এমন একটা মনোভাব আমার মাঝে ছিল।

আমার ছোট ভাই তখন কলে।সেরেলাক্স খায়।তো বাবার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।হঠাৎ মনে হল,সেরেলাক্সের প্যাকেটে গম শব্দটার নিচের ইংরেজিটা হয়তো গমের ইংরেজি হতে পারে।পানি খাওয়ার অজুহাতে পাশের রুম থেকে দেখে আসলাম।ইংরেজিটা বললাম।বাবার মুখে গুড শুনে বুঝলাম আমার ধারণা সঠিক।

একটু পর ম্যাকগাইভার শুরু হল।মারামারি দেখে আমি তো খুব খুশি।সেই খুশিতে বাবার কাছেই আমার গমের ইংরেজি বানান কাহিনী বর্ণনা করলাম।বাবা রাগ করছিলেন কিনা আমার মনে নাই।তবে এই রকম যেন আর না করি এই কথা বলে কানে ধরে উঠবস করতে বললেন।আমি আর কি করি।ধরা খাইয়া দুএকবার কানে ধরে উঠ বস করলাম।আমি যখন কানে ধরে উঠবস করছি তখন ম্যাকগাইভার গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধা।আর এই কারণেই ম্যাকগাইভারের অন্য কোন কিছু মনে না থাকলেও এই একটা দৃশ্যের কথা আমার খুব ভালো করেই মনে আছে।